জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান, একজন ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্রফেশনাল বক্সিং ট্রেইনার, মেন্টর ও প্রমটর, যিনি বাংলাদেশ প্রফেশনাল বক্সিং সোসাইটি এর চেয়ারম্যান, তিনি প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ ক্রীড়া পর্যটন থেকে অনেক লাভবান হতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আগামি দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আমারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সার তৈরি করতে পারবো যা বাংলাদেশের ক্রিয়া পর্যটন এর জন্য একটি আকর্ষণ হিসেবে কাজ করবে এবং এবং যেহেতু বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বক্সিং খেলে থাকে তাই সারা বিশ্বের লোকেরা বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে আসবে এবং কীভাবে বাংলাদেশে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তা দেখতে বাংলাদেশের কাছে আসতে পারে।
তিনি প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বক্সিং জিমগুলি হবে এক একটি পর্যটন আকর্ষণ , যেমন সমুদ্র সৈকত এবং রাতের জীবনযাত্রা পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে কাজ করে।
জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান এর মতে, বাংলাদেশ বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ এবং কনভেনশন আয়োজন করতে পারে কারণ বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধা এবং খুব সৃজনশীল মানুষ রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে বক্সিং, খেলাধুলার জগতে বাংলাদেশ এর নাম উঁচু করে রাখবে, তাই বাংলাদেশ প্রফেশনাল বক্সিং সোসাইটি এবং এর প্রোগ্রামগুলোকে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে আমরা সরকারের সমর্থন আশা করি ।
তিনি বাংলাদেশ কে বক্সিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেওয়ার পরিকল্পনা ও কাঠামো স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কারণ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বক্সিং খেলার চূড়ান্ত পর্যায়।
জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন বাংলাদেশ বক্সিং কে দৃশ্যত ব্র্যান্ড করা দরকার, এবং বক্সিং এর সাথে জড়িত সকল মানুষ এর মাধ্যমে গর্বিত হবে।
তিনি বলেন,বাংলাদেশের বক্সিং উন্নয়ন এর জন্ন্য এমন কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী প্রয়োজন যারা বক্সিং কে ব্রান্ডিং করার ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে সাপোর্ট করে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।
“বক্সিং ট্যুরিজম বাংলাদেশ কে প্রচুর রাজস্ব এনে দিতে পারে এবং আমরা সেদিকে কাজ করব”
তিনি বক্সিংয়ের মানুষের জীবনকে আরামদায়ক করতে পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান যে তারা ক্রিকেট এর মতো বক্সিং কে সমর্থন করে।
তার প্রচারণার বার্তা হল, “মাদক কে না বলুন, বক্সিং কে হা বলুন, সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়ুন”।